মেয়েদের মাসিক/ঋতুস্রাব চক্র:

Views:
Video Information

মেয়েদের মাসিক-০৩

সাধারণতঃ ১০-১২বছর বয়সে মাসিক শুরু হয় এবং ৪৯ বছরের পর স্বাভাবিক নিয়মেই তা বন্ধ হয়ে যায় । তবে কারো কারো ক্ষেত্রে এর আগে বা পরেও হতে পারে । গড়ে প্রতি ২৮দিন পর পর মেয়েদের যোনিপথ দিয়ে যে রক্তস্রাব হয় তাকে মাসিক বা ঋতুস্রাব চক্র বলে ।মাসিক সাধারণত ৪-৫দিন থাকে (তবে কারো কারো ক্ষেত্রে এর স্থায়িত্ব কম-বেশি হতে পারে) এবং মাসিক হওয়ার দিন থেকেই মাসিক চক্র শুরু হয় । মাসিক মেয়েদের দেহের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ।
কেন মাসিক হয় :
মস্তিকে পিটুইটারী গ্লান্ডে তৈরি হরমোন নামক এক প্রকার জৈব রাসায়নিক পদার্থ নালীহীন গ্রন্থি থেকে রক্তে মিশে ক্রিয়া করে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের পরিবর্তন ঘটায় । মেয়েদের ক্ষেত্রে এমট্রেজেন ও প্রজেসস্ট্রেজন হরমোনের প্রভাবে প্রতিমাসে একটি ডিম্ব পরিপক্ক হয় । ডিম্ব ফ্যালোপিয়ান টিউব দিয়ে জরায়ুর দিকে যেতে থাকে, এসময় পুরুষের সাথে যৌন মিলন না হলে ডিম্ব ফেঁটে যায় এবং জরায়ুর গায়ে জমা রক্তসহ বেরিয়ে আসাকে মাসিক বলে । মাসিক শুরু হলে একজন মেয়ের সন্তান ধারনের ক্ষমতা হয় ।
মাসিক নিয়ে কিছু ভুল ধারণা আছে যা সঠিক নয়
ভুল ধারণা সঠিক ধারণা
মাসিক লজ্জার বিষয় মাসিক লজ্জার বিষয় নয়
মাসিক সব মেয়েরই হয় ।
মাসিকের রক্ত দূষিত হয় মাসিকের রক্ত কোন প্রকার দূষিত
রক্ত নয়, হরমোনের প্রভাবে
প্রতিমাসে জরায়ুতে এই রক্ত তৈরী হয়
এবং স্বাভাবিক নিয়মে বের হয়ে যায় ।
মাসিকের সময় টক বা মাছ খাওয়া যায় না এ সময় শরীর থেকে প্রচুর
রক্ত বের হয়ে যা তাই এসময়
বেশি বেশি খাবার খেতে হয়।শরীরের
ক্ষয় পূরণ হয় এমন খাবার যেমন
মাছ,মাংস,ডিম,দুধ,ডাল,শাক-সবজি ও ফলমূল
ইত্যাদি বেশি করে খেতে হয় ।
মাসিক চলাকালে সব ধরণের কাজ করা যায় না সব ধরণের কাজ করা যায়
মাসিকের সময় কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয় :
১. মাসিক শুরু হলে ভয় না পেয়ে প্রথমে পরিবারের মা, ভাবি বা বড় বোনকে জানাতে হবে ।
২. পরিষ্কার ও শুকনো কাপড়/প্যাড ব্যবহার করতে হবে । কাপড়/প্যাড ভিজে গেলেই বদলাতে হবে । বদলানোর পর অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে ।
৩. বদলানো কাপড় যদি কেউ পুনরায় ব্যবহার করতে চায় তাহলে কাপড় সাবান দিয়ে ধুয়ে কড়া রোদে শুকাতে হবে ।তাহলে রোগ জীবানু ভালভাবে ধ্বংস হয় ।
৪. মাসিকের সময় পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে ।
৫. মাসিকের সময় প্রতিদিন গোসল করতে হবে ।
মেয়েদের ঋতুস্রাব
মেয়েদের ঋতুস্রাব যখন আগে হয়ঃ নয় দশ বছর বয়সে ঋতুমতী হওয়া বা তারও আগে শরীরের যৌবনের লক্ষণগুলো দেখা দেয়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েদের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য সুতরাং অহেতুক চিন্তার কোন কারণ নেই । পরিবারের বয়স্করা তাকে এ সময় আশ্বস্ত করবে যে এটা কোন রোগ নয় বরং প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়ম । হাজারো মাত্র দুই জনের ক্ষেত্রে খুব কম বয়সে ঋতুস্রাব হতে পারে শারীরিক রোগের জন্য । জন্মগত ক্রটি মেনিনজাইটিস বা মস্তিষ্কের অন্য কোনও রোগ, পিটুইটারি বা ডিম্বাশয়ের কিছু টিউমার হলে এরকম হতে পারে । ঋতুস্রাবের সঙ্গে সঙ্গে রোগটার অন্য উপর্সগগুলোও দেখা দেয় । উপর্সগগুলোও দেখা দিলে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরার্মশ নেয়া জরুরী ।
মেয়েদের ঋতুস্রাব যখন দেরিতে হয়ঃ অনেক সময় মেয়েদের ঋতুস্রাব ১৫/১৬ বছর বয়সে হয় না । হয়তো তার শরীরে যৌবনের অন্য লক্ষণগুলো আসে দেরি করে । যেসব মেয়েদের ঋতুস্রাব ১৫/১৬ বছর বয়সে হয় না, বমেন মেয়েদের শতকরা ৯৯ জনই ১৮ বছর বয়সের ভেতর ঋতুমতী হয় । পরবর্তী জীবনে স্বাভাবিক সন্তান জন্ম দেন । ১৮ বছর বয়স পেরিয়ে গেলে ঋতুস্রাব না হলে দেখতে হবে শরীরে অন্যান্য রোগের উপসর্গ রয়েছে কিনা । এরকম হলে বিশেষজ্ঞের পরার্মশ নিতে হবে । তবে চিন্তার কোন কারন নেই, হয়তো কোন হরমোন সংক্রান্ত জটিলতায় এমনটি ঘটেছে । সাধারণ মাত্রার ওষুধ খেলেই এটা ঠিক হয়ে যাবে । তবে অপেক্ষা করবেন শেষ সময় পর্যন্ত ।
ঋতুস্রাব অসহনীয় ব্যথাঃ এটি অনেকের হয়ে থাকে । তবে ব্যথা অসহনীয় হলে ‘RENOVA’ (Paracitamol BP 500mg) খাওয়া যেতে পারে ।
অনিয়মিত ঋতুস্রাবঃ
• ঋতুস্রাব ২৮-৩০ দিনের বদলে ২ থেকে ৩ মাস বাদে বাদে স্রাব হলে ।
• কখনও একটানা ৫ থেকে ৬মাস ঋতুস্রাব বন্ধ থাকলে ।
• কিছু ক্ষেত্রে কখনও ১০ থেকে ১৫ দিন বাদে, কখনও ২ থেকে ৩ মাস বাদে স্রাব হচ্ছে – এই ধরনের চুড়ান্ত অনিয়ম দেখা যায় ।
অনিয়মিত ঋতুস্রাব কারনঃ অতিরিক্ত শারীরিক বা মানসিক চাপ, অতিরিক্ত ভাবনা চিন্তা থেকে হতে পারে ।
অনিয়মিত ঋতুস্রাবে করণীয়ঃ অনিয়ম চুড়ান্ত পর্যায় হলে স্ত্রী বিশেষজ্ঞ পরার্মশ নিতে হবে
ঋতুস্রাব যখন খুব বেশি
যৌবনের শুরুতে এটাও অনেক মেয়েদের সাধারণ একটা সমস্যা । মাসিক ৪ থেকে ৫ দিনের বদলে ৭/৮ বা ১৪/১৫ দিন পর্যন্ত হতে পারে । কখনও বা ৪/৬ দিনই স্রাব হয়, পরিমানে খুব বেশি হচ্ছে কিনা তা বুঝতে হলে নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য করুন ।
• ২৪ ঘন্টায় ৪/৫টার বেশি ‘ন্যাপকিন’ বা ন্যাকড়া (গ্রামাঞ্চলের মেয়েরা যা ব্যবহার করে) পুরোপুরি ভিজে গেলে পরবর্তী সেগুলো বদল করার জরুরী প্রয়োজন হলে ঋতুস্রাব বেশি হচ্ছে বলে বুঝতে হবে ।
• ঋতুস্রাব একটানা ৭/৮ দিনের বেশি চলতে থাকলে ।
• স্রাবের সঙ্গে রক্তের ছোট বড় চাকা বা ডেলা বের হতে থাকলে । ফাইব্রিনোলাইসিন নামের তঞ্চনরোধী পর্দাথের উপস্থিতির জন্য ঋতুস্রাবের রক্ত তরল থাকে, জমাট বাধে না । রক্তস্রাবের পরিমান খুব বেশি হলে এই তঞ্চনরোধক পুরো রক্তটাকে তরল রাখতে পারে না । কিছুটা রক্ত জমাট বেঁধে স্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে আসে ।
শতকরা ৯০ জনের ক্ষেত্রে এটা কোন কোন রোগের জন্য হয় না । কিছু হরমোনের অনিয়মিত নিঃসরনের এর জন্য দায়ী । শতকরা দশের জনের ক্ষেত্রে এরকম হতে পারে কোন রোগের কারনে । বিশেষ করে যক্ষা, লিউকোমিয়া বা রক্ততঞ্চন ধরনের বিশেষ কোন রোগের কারনে । এই সময় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরার্মশ নেয়া প্রয়োজন । ডাক্তারের পরামর্শে রক্ত পরীক্ষাসহ অন্যান্য পরীক্ষা করার পর কোন রোগ ধরা না পড়ে । তবে বিষয়টিকে হরমোনঘটিত বলে ধরে নেয়া হয় । এই সমস্যাটিকে ‘puberty Menorrhagia’ বলা হয় । এই সময় পরিবারের মা, বড় বোন বা পরিবারের অন্যান্য বয়স্কা আত্নীয়দের আক্রান্ত মেয়েটিকে বারবার বোঝাতে হবে, ওর তেমন কিছু হয়নি এরকম অনেকেরই হয় ।
ঋতুস্রাব যখন একেবারেই কম হয়
সাধারণত এ্যানেমিয়া বা রক্তস্বল্পতা হলে মাসিকের পরিমান কমে যেতে পারে । অর্থাৎ ১/২দিন স্রাব থাকলে । তবে সবার ক্ষেত্রে তা ঠিক নয় । চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করেছেন, বিশেষ করে কর্মরত বা শহরাঞ্চলের মেয়েদের ঋতুস্রাব কমেছে, এটা অস্বাভাবিক নয় ।
সাধারণত ঋতুস্রাবের পরিমাণ বা সময় কমে গেলে ‘মাসিক পরিষ্কার হয় না’- এই রকম ধারণা রয়েছে অনেকের । এই রক্ত শরীরের রয়ে গেলে শরীরের ব্যাপক ক্ষতি হয় । এগুলো ভুল ধারনা । মাসিকের সময় যে রক্তস্রাব হয়, তা শরীরের সাধারণ রক্ত । হাত কেটে গেলে বা মাথা ফেটে গেলে রক্তবাহী নালিকা ছিঁড়ে যে রক্ত বের হয়-মাসিকের রক্ত অনেকটা সেরকম । জরায়ুর শে-ষ্মাঝিলি-বা এন্ড্রোমেট্রিয়াম-এর ভেতরকার রক্তবাহী নালিকাগুলো ছিঁড়ে রক্তস্রাব হয় এই কয়দিন । এর শরীরের কোনও দূষিত পদার্থ বাইরে বের হয়ে আসে না ।
ঋতু কালে সর্তকর্তা
১. ঋতুর কয়েকটি দিন অন্তত প্রথম তিনটি দিন কঠিন পরিশ্রমের কাজ থেকে বিশ্রাম নেয়াই উচিত ।
২. এই সময় বেশি শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম করা উচিত নয় ।
৩. ঠান্ডা লাগানো, বৃষ্টির পানিতে ভেজা ঠিক নয় । বেপরোয়া লাফালাফি করা মোটেই উচিত নয় ।
৪. জীবাণুমুক্ত তোয়ালে বা তুলো ব্যবহার করতে হবে । তা না হলে পরিষ্কার কাপড় ফুটন্ত পানিতে সিদ্ধ করে শুকিয়ে ব্যবহার করতে হবে ।
৫. খুব বেশিক্ষণ এক কাপড় বা প্যাড যোনিমুখে লাগিয়ে রাখা স্বাস্হ্যসম্মত নয় । তাই মাঝে মাঝেই সেটি বদলাতে হবে ।
৬. মূত্রত্যাগের সময় অবশ্যই যৌনাঙ্গ এবং তার চারপাশে ডেটল মেশানো পানি দিয়ে ধুতে হবে । মনে রাখতে হবে এইসময় যৌনাঙ্গ বিভিন্ন রোগ সংক্রমণের উপযুক্ত সময় ।
মেনোপেজ বা রজনীবৃওি বা ঋতুস্রাব বন্ধ
কোন মহিলার জবিনে একটা বয়সে ঋতুস্রাব চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যায় । এই অবস্থার নাম রজনীবৃত্তি বা মেনোপেজ । সাধারনত ৪৫-৪৭ বছর বয়সে এরকম হয় । তবে কারো ৪০-এ বন্ধ হয়, আবার কারো বা ৫২-৫৩ বছর বয়স পর্যন্ত বন্ধ হয় না । মেনোপেজ – কথাটি আরেক অর্থ হলো জীবনের পরিবর্তন । মেনোপেজের ২-৫ বছর আগে বা ২/৩ বছর পর পর্যন্ত এই পরিবর্তনের জন্য শরীর – মনের নানা সমস্যায় ভুগতে পারেন ।
ক) যৌবন শেষ হবার বছরগুলোতে বেশিরভাগ মহিলা যে উপসর্গে কষ্ট পান, তা হল “হট -ফ্ল্যাশ” । এতে কান, মাথা জুড়ে হঠাৎ করে খুব গরম লাগতে থাকে । মাথা কিংবা কান থেকে যেন আগুনের হালকা বের হতে থাকে । সেই সাথে সারা শরীর জুড়ে ঘাম দেখা দিতে পারে । কেউ কেউ এই উপসর্গ এত কষ্ট পান যে রাতে ভালো করে ঘুমাতে পারেন না ।
খ) বুক ধড় পড় করা, কোষ্ঠকাঠিন্য, হজমের গোলমাল, পেটভার, বুকে অল্প অল্প ব্যথা -এই উপসর্গ দেখা দেয় ।
গ) অল্প অল্প পরিশ্রমে বেশি ক্লান্তি, শরীরের চামড়ার টান টান ভাব চলে গিয়ে চামড়ার রুক্ষতা, ভাজঁ পড়া, বেশি চুল পড়তে থাকা, শরীরের মেদ বেড়ে ওজন বেড়ে যাবার কষ্ট – এগুলো এসময়কার সাধারণ সমস্যা ।
ঘ) ৪০ – পর থেকে অনেক মহিলারা গেটেঁ বাত, চলাফেরায় পায়ের গোড়ালি ব্যথা, কোমর – পিঠে ব্যথা – এসব কষ্ট পান ।
রজঃনিবৃওির পর শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ইস্ট্রোজেন হরমোনের অভাবের ছাপ পড়ে । যেমন:
হৃদরোগ : ইস্ট্রোজেন কমে যাওয়ার ফলে পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার পর হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায় ।
অস্থি ভঙ্গুরতা : মেয়েদের পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার পর প্রথম কয়েক বছর অতি দ্রুত অস্থির ঘনত্ব কমে যায় যা অস্থিক্ষয় নামে পরিচিত । এর ফলে হাড় নরম এবং ভঙ্গুর হয়ে পড়ে । সাধারণত মেয়েদের পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার পর মেয়েদের নিতম্ব, কবজি, শিরদাঁড়া ইত্যাদি হাড় ভাঙ্গার প্রবণতা অনেকগুণ বেড়ে যায় ।
মূএ ধারণে সমস্যা : মেয়েদের পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার পর মূএনালী এবং যৌনাঙ্গের আবরণ এবং ইলাস্টিক কলা অনেক দুর্বল হয়ে যায় । ফলে মূএথলিতে মূএ ধরে রাখার ক্ষমতা কমে যায় । হাসি – কাশি কিংবা ভারী জিনিসপএ ওঠানো নামানো করতে গেলেই অনেকের মূএ নিঃসরণ হয়ে যায় ।
স্থুলকায় : মেয়েদের পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার সময় অনেক মহিলার ওজন বেড়ে যায় ।
সুতরাং মেয়েদের পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার সঙ্গে হৃদরোগ, হাড়ের সমস্যা ইত্যাদি জটিলতা রয়েছে কিনা তা শনাক্ত করার জন্য কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার প্রয়োজন হতে পারে ।
এই সমস্যাগুলো সবার ক্ষেত্রে আসবে তবে একে পাশ কাটানোর চেষ্টা করতে হবে ।
ক) মানসিক বিনোদনে সময় বাড়ান । গান – বাজনা, সেলাই, বাগান করা, পড়াশোনা, চাকরি – যে কাজে আনন্দ খুজেঁ পান, তাতেই নিয়ম করে সময় দেন ।
খ) এসময় ঔষধ খাবারের অভ্যাস তৈরি হয় সহজেই । সুতরাং সর্তক থাকুন ।
গ) পুষ্টিকর খাবার খান । নিয়মিত ডাক্তারের ভিজিট করুন ।
ঘ) অস্বাভাবিক কোন স্ত্রীরোগ উপসর্গ দেখা দিলে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেন ।
ঙ) স্ত্রী বা মায়ের ভুমিকা থেকে নানী, দাদির ভূমিকা কম গুরুত্বপূর্ন নয় । তাই নতুন সর্ম্পক গুলোতে সময় দেন, সময় সুন্দর কেটে যাবে ।
চ) এই সময় নানা সামাজিক কাজকর্মে, বা গঠনমূলক কাজে জড়িত হওয়া যেতে পারে । আজকাল নানা বিনোদনমূলক ক্লাব গড়ে ওঠেছে এগুলোতে যোগ দেওয়া যেতে পারে ।
মেনোপেজের আগে – পরে নানা সমস্যা
১) একটানা বেশ কিছুদিন রক্তস্রাব হতে থাকা ।
২) একটানা ছয়মাস বন্ধ থাকার পর আবার রক্তস্রাব দেখা দেয় ।
৩) প্রত্যেক মাসে বা অনিয়মিতভাবে খুব বেশি স্রাব হতে থাকা ।
৪) দুটো স্বাভাবিক পিরিয়ড এর মাঝে রক্তস্রাব হয় ।
৫) সহবাসের পর রক্তস্রাব হয় ।
৬) মেনোপেজ হয়ে যাবার পর হঠাৎ খুব বেশি সাদা স্রাব ।
উপরোক্ত সমস্যাগুলোতে ডাক্তারে পরামর্শ অনুযায়ী সাইটোলজি ডায়াগনস্টিক কিউরেটাজ বা বায়োপসির মত পরীক্ষা করাতে দেরি করবেন না । গোড়াতে ধরা পড়লে জরায়ুর মুখে ক্যানসার বা জরায়ুর ক্যানসার বেশি ছড়িয়ে পড়ার আগে অস্ত্রোপচারে ভালো কাজ হয় । রোগটা অন্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়তে পারে না ।
ঋতুকালীন মিলন
ঋতু চলাকালীন সময়ে যৌনমিলন করলে নিচের সমস্যা দেখা দিতে পারে ।
১) ঋতুকালে জরায়ু ও যোনির অম্লভাব থাকে না – তাই এটি রোগজীবানু দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে ।
২) জরায়ুতে ব্যথা লাগতে পারে । অনেক সময় যোনিতে প্রবিষ্ট উত্তেজিত লিঙ্গের পুনঃ পুনঃ ধাক্কায় ভেতরের ইউটেরাসের মুখ ঘুরে যেতে পারে । এতে করে পরবর্তী মারাত্মক কুফল নেমে আসে মেয়েটির জীবনে ।
৩) মিলন পরবর্তী মুহূর্তে জরায়ুতে প্রচন্ড ব্যথা অনুভূত হতে পারে । সেই সাথে তলপেটে চিনচিনে ব্যথা অনুভূত হতে পারে । অনেক সময় দেখা গেছে ঋতুকালীন অবস্থায় যৌনমিলনের প্রায় সাত থেকে আট ঘন্টা পর প্রচন্ড পেট ব্যথায় নারী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে ।
৪) রক্তপাত বেশি হতে পারে ।
৫) দেহ অপবিত্র লাগে । মানসিক অরুচি সৃষ্টি হতে পারে ।
৬) সঙ্গী পুরুষের লিঙ্গে রক্ত লেগে যৌনমিলনের প্রতি তার বিতৃষ্ণা জন্মাতে পারে ।
৭) পুরুষের লিঙ্গে কোন অসুখ থাকলে এইসময় তা অতিদ্রুত নারীর যোনিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং নারীর যোনি এই সময় অতি সহজে আক্রান্ত হতে পারে ।
৮) শুধু পুরুষ লিঙ্গই নয় । নারীদেহে যদি কোন সংক্রামক রোগ থাকে – তাহলে এইসময় সেটা অতিদ্রুত পুরুষদেহে সংক্রামিত হতে পারে ।
................................................................................................................................................
মেয়েদের মাসিক, নারীদের মাসিক, মহিরাদের মাসিক, মাসিকের সময়, মাসিক হয়, মাসিকের সময়, মাসিক হলে ব্যাথা, মাসিকের সময় তলপেটে ব্যাথা, মাসিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, মাসিকের চিকিৎসা, মাসিকের ওসুধ, মাসিকের, পিরিয়ড সমস্যা, পিরিয়ডের চিকিৎসা, পিরিয়ডের ওষুধ, পিরিয়ডে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ,নারীদের পিরিয়ড, মেয়েদের পিরিয়ড, মহিলাদের পিরিয়ড,মহিলাদের ঋতুচক্র, নারীদের ঋতুচক্র, মেয়েদের ঋতুচক্র,মেয়েদের ঋতুস্রাব, নারীদের ঋতুস্রাব,মহিরাদের ঋতুস্রাব, অতিরিক্ত সাদাস্রাবের কারন, সাদাস্রাব,নারদের সাদাস্রাব, মহিলাদের সাদাস্রাব, মেয়েদের সাদাস্রাব, সাদাস্রাবের কারণ, period, period problem,period somossa, mashik hola ke korbo, mashik somossa, meyader mashik, meyeder period
..........................................................................................................................................

Filed Under:
Similar Videos